un

গণগ্রেপ্তার বন্ধ ও হত্যাযজ্ঞের দায় নিয়ে স্বৈরাচারী সরকারের পদত্যাগের দাবিতে সিপিবির বিক্ষোভ


কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগ সন্ত্রাসী ও পুলিশবাহিনী দিয়ে বর্বরোচিত হামলা ও পরবর্তীতে গণগ্রেপ্তার এবং ছাত্রদের উপর নির্বিচারে গুলি ও হত্যাযজ্ঞের দায় নিয়ে স্বৈরাচারী সরকারের পদত্যাগের দাবিতে আজ ৩ আগস্ট, ২০২৪, শনিবার বিকাল ৪.৩০ টায় সিনেমা প্যালেস চত্বরে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, চট্টগ্রাম জেলার উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সিপিবি চট্টগ্রাম জেলার সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য মছিউদদৌলার সভাপতিত্বে এবং জামাল উদ্দীন সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, সিপিবি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মৃণাল চৌধুরী, উত্তম চৌধুরীর, নুরুচ্ছাফা ভূঁইয়া, প্রদীপ ভট্টাচার্য, জহির উদ্দীল মাহমুদ প্রমুখ।

সিপিবি নেতারা বলেন, সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা নিয়মতান্ত্রিকভাবে আন্দোলন করে আসছিলেন। আমরা দেখেছি, তাদের আন্দোলন শান্তিপূর্ণই ছিল এবং দেশের মানুষের বৃহত্তর অংশের সমর্থনও আছে। সরকার তাদের দাবির প্রতি সহানুভূতি দেখিয়ে যৌক্তিক সিদ্ধান্ত নিতে পারতো। কিন্তু সেটা না করে নিজ দলের সন্ত্রাসীদের নামিয়ে দিয়ে  দমন-পীড়নের পথ বেছে নিয়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে ছাত্র-জনতার মিছিলে পুলিশ-দলীয় সন্ত্রাসীদের হামলা ও পরবর্তীতে গণগ্রেপ্তার এবং ছাত্রদের উপর নির্বিচারে গুলি ও হত্যার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বক্তারা বলেন, হত্যা নির্যাতন করে গদি রক্ষা করা যাবে না। আমরা সরকারকে ক্ষমতার দম্ভ পরিহারের আহ্বান জানিয়ে বলতে চাই, দমন-পীড়ন চালিয়ে কারও ন্যায্য দাবি আদায়ের সংগ্রামকে ভুলুণ্ঠিত করা যায় না, ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিন।

বক্তারা আরো বলেন, ভয়-ভীতি উপেক্ষা করে সারাদেশে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার হাজার হাজার মানুষ রাজপথে পথে নেমে এসেছে। সরকারের বিরুদ্ধে গণরায় ঘোষণা করেছে। এটি উপেক্ষা করার পরিণাম হবে ভয়াবহ। তাই কালবিলম্ব না করে শেখ হাসিনা সরকারকে পদত্যাগ করে দেশের মানুষের গণরায়কে মেনে নেয়া এবং সমস্যার রাজনৈতিক সমাধানের উদ্যোগ গ্রহণ করার আহ্বান জানান।

একইসঙ্গে বক্তারা আরও বলেন, সকল নাগরিকের গণতান্ত্রিক অধিকারের সংগ্রামে সিপিবি সবসময় তাদের পাশে আছে। আমরা শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা-নির্যাতন, দমন-পীড়ন ও গণগ্রেপ্তার অবিলম্বে বন্ধের দাবি জানাচ্ছি। সংঘর্ষে প্রাণহানির জন্য দায়ীদের তদন্তের মাধ্যমে শনাক্ত করে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে।  স্বৈরাচার ও স্বৈরাচারী ব্যবস্থার অবসান ও রাষ্ট্রের সংস্কারের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত রাখার আহ্বান জানাচ্ছি।