বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক: একতরফা সমঝোতায় ক্ষতির আশঙ্কা, ভূটান-নেপাল ট্রানজিটে স্বস্তি খোঁজার চেষ্টা
সাম্প্রতিক দিল্লি সফরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতকে ‘রেল ট্রানজিট’ দেওয়া এবং ‘তিস্তা পুনরুদ্ধার’ প্রকল্পে ভারতের যুক্ত হওয়ার সমঝোতার ঘোষণা আসার পর বাংলাদেশে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়েছে। বিরোধী দল বিএনপি সরকারকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেছে, তবে ভারত এই পদক্ষেপগুলো বাস্তবায়নের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী।
ভারত জানিয়েছে, ‘রেল ট্রানজিটের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে ‘বহুমাত্রিক’ সংযোগ উন্নীত হবে, যা সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে। ট্রানজিট ফি ও নিরাপত্তা বিষয়ক খুঁটিনাটি আলোচনার জন্য দুই দেশের ‘টেকনিক্যাল কমিটি’ বসবে।
তিস্তার জল সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পে ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এবং গঙ্গা চুক্তির নবায়ন নিয়ে আলোচনা শুরু করার ইঙ্গিত দিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী এর আপত্তি জানিয়েছেন, কিন্তু দিল্লি তার হুমকিকে আমল দিচ্ছে না।
দিল্লির পর্যবেক্ষকরা বলছেন, বাংলাদেশে এই পদক্ষেপগুলো বাস্তবায়িত করতে ভারতকেও কিছু ছাড় দিতে হতে পারে, যেমন নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে বাণিজ্যের জন্য বাংলাদেশের রেল ও সড়ক ট্রানজিট এবং তিস্তা প্রকল্পে ভারতের অর্থায়নের একটি বড় অংশ অনুদানে পরিবর্তন করা।
তবে বাংলাদেশের অনেক মানুষ মনে করেন, ভারতের সাথে এই ধরনের সমঝোতা বা চুক্তি সব একতরফা হচ্ছে। তাদের ধারণা, এতে বাংলাদেশের দৃশ্যত তেমন কোন লাভ হচ্ছে না। যদি বাংলাদেশ ভূটান ও নেপালের সাথে ট্রানজিট সুবিধা পায়, তবে বাংলাদেশের মানুষ কিছুটা হলেও স্বস্তি পেত।
বাংলাদেশে বিরোধী দলীয় শিবির বা কিছু মানুষের বিরোধিতা থাকা সত্ত্বেও ভারত বিশ্বাস করে, এই উদ্যোগগুলো সফলভাবে রূপায়িত হবে এবং দুই দেশের মানুষ উপকৃত হবেন।