রোমানিয়া-হাঙ্গেরি সীমান্তে পণ্যবাহী গাড়ি থেকে আটক ১১ অভিবাসী

রোমানিয়া-হাঙ্গেরি সীমান্তের আলোচিত নাদলাক- ২ বর্ডার ক্রসিং পয়েন্ট থেকে ১১ জন অনিয়মিত অভিবাসীকে আটক করেছে রোমানিয়া সীমান্ত পুলিশ। আটক হওয়া ব্যক্তিরা বাংলাদেশ, সিরিয়া, ইথিওপিয়া এবং মিশরের নাগরিক বলে নিশ্চিত করেছে কর্তৃপক্ষ।
গত রোববার (২৩ জুন) এক বিবৃতিতে সীমান্ত পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার ধাতব রোলার পরিবহনকারী একটি গাড়ি থেকে ১১ জন অনিয়মিত অভিবাসীকে আটক করা হয়েছে।
৪১ বছর বয়সি এক তুর্কি নাগরিক গাড়িটি চালিয়ে আসছিলেন। তিনি সীমান্তে উপস্থিত হয়ে তুরস্ক-চেক রুটে পণ্য পরিবহনের তথ্য দিয়েছিলেন।
কিন্তু গাড়ি ও চালকের সামগ্রিক কর্মকাণ্ড ঝুঁকিপূর্ণ মনে হলে অধিকতর তদন্তের সিদ্ধান্ত নেয় সীমান্ত পুলিশ এবং শুল্ক কর্মকর্তারা।
পরবর্তীতে গাড়ির ভেতর থেকে বাংলাদেশ, সিরিয়া, ইথিওপিয়া এবং মিশরের ১১ জন নাগরিককে খুঁজে পায় সীমান্ত পুলিশ।
অভিবাসীদের সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সীমান্ত পুলিশ সেক্টরের সদর দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়ে। সেখানে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে জানা যায়, তাদের সবাই ১৫ থেকে ৪০ বছর বয়সি পুরুষ। ওই সময় তারা বেআইনি উপায়ে হাঙ্গেরিতে ঢুকে পশ্চিম ইউরোপে যাওয়ার চেষ্টার কথা স্বীকার করে।

অভিবাসীদের শনাক্ত করতে বর্ডার পুলিশকে সহায়তা করেছে তিমিসোয়ারা টেরিটোরিয়াল ইন্সপেক্টরেট।
অভিবাসীদের বিরুদ্ধে বেআইনি উপায়ে রাষ্ট্রীয় সীমান্ত পাড়ি চেষ্টার দায়ে আইনি অভিযোগ চালু করা হয়েছে। অপরদিকে, চালকের বিরুদ্ধে মানব পাচারের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়েছে।
চলতি বছরের ৩১ মার্চ থেকে ইউরোপের আরেক দেশ বুলগেরিয়ার সাথে আংশিকভাবে অবাধ চলাচলের অঞ্চল শেঙ্গেন জোনে প্রবেশ করেছে রোমানিয়া।
শেঙ্গেন জোনে প্রবেশ করলেও অনিয়মিত অভিবাসী বিরোধী অভিযান এবং নিজ দেশে বহিষ্কার অব্যাহত রেখেছে বুখারেস্ট।
এর আগে গত সপ্তাহে ১৪ বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের মোট ২০ জন অভিবাসীকে তাদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠায় রোমানিয়া।
গত মাসে ইনফোমাইগ্রেন্টসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে রোমানিয়া সীমান্ত পুলিশের আরাদ কাউন্টির মুখপাত্র দিনসা আন্দ্রেই আলেকজান্দ্রুর জানিয়েছিলেন, ২০২৩ সালে বিভিন্ন দেশের মোট সাত হাজার ৪০০ জনেরও বেশি অভিবাসীকে রোমানিয়া থেকে অনিয়মিত উপায়ে সীমান্ত অতিক্রমের সময় আটক করা হয়েছে।
তাদের বেশিরভাগই হাঙ্গেরিতে ঢুকে পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলোতে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন বলে জানান তিনি৷