চলমান সংবাদ

জাহাজভাঙা শ্রমিকদের ১০ জুনের মধ্যে ঈদুল আযহার বোনাস এবং  আসন্ন বাজেটে শ্রমিকদের জন্য রেশনিং ব্যবস্থা চালুর জন্য পর্যাপ্ত বরাদ্দের দাবি

জাহাজভাঙা শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন ফোরামের মানববন্ধন ও সমাবেশে বক্তব্য প্রদান করছেন জাহাজভাঙা শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন ফোরামের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা তপন দত্ত

আজ বিকাল সাড়ে ৩টায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব চত্বরে জাহাজভাঙা শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন ফোরামের এক মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ফোরামের আহ্বায়ক শ্রমিকনেতা তপন দত্তের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব ফজলুল কবির মিন্টুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত উক্ত সভায় বক্তব্য রাখেন ফোরামের যুগ্ম আহ্বায়ক এ এম নাজিম উদ্দিন, জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক শ ম জামাল, জাহাজভাঙা শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন ফোরামের সদস্য এবং জাতীয় শ্রমিক লীগ সীতাকুন্ড আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি মাহাবুবুল আলম, বাংলাদেশ মুক্ত শ্রমিক ফেডারেশন চট্টগ্রাম জেলার সাধারণ সম্পাদক নুরুল আবসার,  জাহাজভাঙা শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন ফোরামের কোষাধ্যক্ষ রিজওয়ানুর রহমান খান, বাংলাদেশ লেবার ফেডারেশনের সাংগঠনিক সম্পাদক রবিউল হক শিমুল, বাংলাদেশ মেটাল ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক মোঃ আলী, বাংলাদেশ ফ্রি ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেস এর সাধারণ সম্পাদক কে এম শহিদুল্লাহ, বাংলাদেশ লেবার ফেডারেশনের চট্টগ্রাম মহানগর সাধারণ সম্পাদক আবু আহমেদ, বাংলাদেশ মুক্ত শ্রমিক ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক মোঃ ইদ্রিছ, জাহাজভাঙা শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের আহ্বায়ক মোঃ মানিক মণ্ডল, জাহাজভাঙা শ্রমিকনেতা মোঃ হাসান প্রমুখ।

সভায় বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালার বিধি ১১১(৫) অনুসারে জাহাজ ভাঙ্গা শ্রমিকদের আসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষে মূল বেতনের সমপরিমান উৎসব বোনাস, মে মাসের পূর্ন বেতন এবং জুন মাসের আংশিক ১০ বেতন জুনের মধ্যে প্রদান করার জন্য মালিকদের প্রতি আহ্বান জানানো হয় এবং এই ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়।

সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, জাহাজভাঙা শ্রমিকেরা যে মজুরি পায় তা দিয়ে তাদের জীবন জীবিকা নির্বাহ করাই কষ্টকর হয়ে পড়ে। উপরন্তু জাহাজভাঙা সেক্টরে ২০১৮ সালে ঘোষিত নিম্নতম মজুরি এখনো  বাস্তবায়িত হয়নি। ইতিমধ্যে নিম্নতম মজুরি ঘোষোনার ৫ বছর পূর্ণ হওয়ায় শ্রম আইন অনুসারে নতুন মজুরি বোর্ড ঘোষণার সময় হয়ে গেছে। তাই অবিলম্বে নতুন মজুরি বোর্ড গঠন করে জাহাজভাঙা শ্রমিকদের নিম্নতম মাসিক মজুরি ২০ হাজার টাকা ঘোষণা করতে হবে।

নেতৃবৃন্দ হতদরিদ্র শ্রমিকদের ন্যুনতম জীবনমান বজায় রাখার স্বার্থে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি জরুরিভাবে রোধ করার আহ্বান জানান। পাশাপাশি দ্রব্যমূল্য রোধের স্থায়ী এবং দীর্ঘ মেয়াদে সমাধানকল্পে দেশের সকল দরিদ্র জনগোষ্ঠী ও জাহাজভাঙা শ্রমিকসহ সকল খাতের শ্রমিকদের জন্য ন্যায্যমূল্যে রেশনিং ব্যবস্থা প্রনয়ন এবং সারাদেশে শ্রমিক অধ্যুষিত এলাকায় টিসিবির অধীনে ন্যায্যমূল্যের দোকান চালু করার জন্য আসন্ন বাজেটে পর্যাপ্ত বরাদ্দের দাবি জানানো হয়।

সমাবেশে জাহাজভাঙা শ্রমিকদের পেশাগত স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে বিশেষজ্ঞ হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা এবং জাহাজভাঙা শিল্পাঞ্চলে সার্বক্ষনিক প্রয়োজনীয় সংখ্যক এ্যাম্বুলেন্স রাখার জোর দাবি জানানো হয়।