ভূমধ্যসাগর থেকে ১৯ বাংলাদেশিসহ উদ্ধার ৫২

সি-আই জানিয়েছে, ৫২ অভিবাসনপ্রত্যাশীদের মধ্যে ৪৬ জনই পুরুষ৷ এছাড়াও ছিলেন ১৬-১৭ বছর বয়সি ছয় অপ্রাপ্তবয়স্ক৷ তাদের মধ্যে আবার চার জন সঙ্গীহীন৷

নৌকাটিতে ১৯ জন বাংলাদেশি ছাড়াও ছিলেন ২৬ জন সিরিয়ান, চার জন ফিলিস্তিনি এবং একজন করে পাকিস্তান, মরক্কো এবং মিশরের নাগরিক৷

২০ মে সন্ধ্যায় একটি বিপদাপন্ন নৌকা থেকে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের উদ্ধার করে সি-আই ফোর৷ উদ্ধারের পর দুই অভিবাসনপ্রত্যাশীকে জরুরি চিকিৎসাসেবা দিতে হয়েছে৷ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জার্মান এনজিওটি আরো জানিয়েছে, উদ্ধার অভিযানটি মাল্টার উদ্ধার ও অনুসন্ধান অঞ্চলে চালানো হয়েছিল৷

এতে আরো বলা হয়েছে, ২০ মে বিকেলে ব্যক্তি পর্যায়ের উদ্ধারকারী জাহাজ মারে গো থেকে জরুরি বার্তা পেয়েছিল সি-আই ফোর৷ তারপরই ঘটনাস্থলের দিকে ছুটে যায় জাহাজটি৷ প্রায় দুই ঘণ্টা পর নৌকাটির কাছে পৌঁছায় সি-আই ফোর৷ উদ্ধারকর্মীরা দেখতে পান, সমুদ্রে চলাচলের অনুপযোগী ফাইবারগ্লাসের নৌকায় ছিলেন অভিবাসনপ্রত্যাশীরা৷ ছোটো নৌকাটি ছিল কানায় কানায় পূর্ণ৷

সি-আই তাদের বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানিয়েছে, ‘‘নৌকায় থাকা আরোহীদের লাইফ জ্যাকেট দিয়ে প্রাথমিক বিপর্যয় থেকে রক্ষা করেছিল মারে গো৷’’

সন্ধ্যা থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে সবাইকে নিরাপদে জাহাজে তুলতে সক্ষম হয় সি-আই ফোরের উদ্ধারকর্মীরা৷ উদ্ধারের পর ইটালির রাভেনায় অভিবাসনপ্রত্যাশীদের নামাতে সি-আই ফোরকে নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ৷ শনিবার জাহাজটি রাভেনার রোমাগনা বন্দরে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে৷

ঘটনাস্থল থেকে নয়শ নটিক্যাল মাইল দূরের রাভেনায় যেতে বলায় ইটালির সমালোচনা করেছে সি-আই৷

টিএম/এফএস (আনসা)