‘চট্টগ্রাম যুব বিদ্রোহ’ দিবসে মাস্টারদা সূর্য সেনের আবক্ষ মুর্তিতে সিপিবি’র পুষ্পস্তবক অর্পণ

বৃটিশ সাম্রাজ্যবাদের ভিত কাঁপিয়ে দেয়া ‘চট্টগ্রাম যুব বিদ্রোহ’ দিবস উপলক্ষে মাস্টারদা সূর্য সেনসহ বিপ্লবীদের গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করেছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), চট্টগ্রাম জেলা শাখা।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকালে নগরীর জেএম সেন হলে মাস্টারদা সূর্য সেনের আবক্ষ মুর্তিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা সিপিবির সভাপতি অধ্যাপক অশোক সাহা, সদস্য ফরিদুল ইসলাম, অমিতাভ সেন ও শীলা দাশগুপ্তা।
পুষ্পস্তবক অর্পণের পর সমবেতদের উদ্দেশে জেলা সিপিবির সভাপতি অধ্যাপক অশোক সাহা বলেন, আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসকে যদি পূর্ণতা দিতে হয়, তাহলে এর গোড়াপত্তন যেখানে হয়েছিল, সেই ইতিহাস তুলে ধরতে হবে। ভারতবর্ষে স্বাধীনতার জন্য প্রথম সশস্ত্র সংগ্রাম হয়েছিল মাস্টারদা সূর্য সেনের নেতৃত্বে। মাস্টারদার নেতৃত্বে যে যুব বিদ্রোহ, তার মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার স্বপ্নের বীজ বপন হয়েছিল, বিপ্লবের বীজ বপন হয়েছিল। যুব বিদ্রোহের আদর্শকে ধারণ করে আমাদের অসাম্প্রদায়িক, প্রগতিশীল, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ নির্মাণ করতে হবে। শোষণমুক্ত সমাজ বিনির্মাণের লক্ষ্যে সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী, অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনে যুব বিদ্রোহ এখনও মুক্তিকামী মানুষের অনুপ্রেরণা।
তিনি আরও বলেন, খুবই পরিতাপের বিষয় হচ্ছে, এদেশের বিপ্লবী বীর সন্তানদের স্মৃতি কিংবা বীরত্বগাঁথার ইতিহাস সংরক্ষণে রাষ্ট্র খুবই উদাসীন ভূমিকা পালন করে আসছে। বরং ক্রমাগতভাবে যেন বিপ্লবীদের স্মৃতিচিহ্ন মুছে দেয়ার প্রয়াস চলছে। এটা খুবই দুঃখজনক। আমরা রাষ্ট্রের কাছে দাবি জানাই, যারা স্বাধীনতার ভিত বপন করেছিলেন, সেই মাস্টারদা সূর্য সেন, প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারসহ বিপ্লবীদের স্মৃতি রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে সংরক্ষণের পাশাপাশি নতুন প্রজন্মের সামনে তুলে ধরতে হবে। দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিপ্লবীদের স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করতে হবে। একইসঙ্গে যে মানবিক, শোষণমুক্ত, বৈষম্যহীন সমাজের স্বপ্ন বিপ্লবীরা দেখেছিলেন, রাষ্ট্রকে সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে হাঁটতে হবে। এটাই যুব বিদ্রোহ দিবসে আমাদের দাবি।