বিজ্ঞান প্রযুক্তি

বিজ্ঞান ভাবনা (১২৬): নির্বাচন

– বিজন সাহা

বিজন সাহা (ফাইল ছবি)

বেশ কিছু দিন ধরে ফেসবুকে নির্বাচন নিয়ে অনেক লেখালেখি হলেও ইদানীং সেটা প্রায় অনুপস্থিত। লেখালেখি মানে নির্বাচন বয়কটের কথা বা তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচনে না যাওয়া। তবে শেষ পর্যন্ত সরকার বিরোধী দলের এই দাবিতে রাজি না হওয়ায় তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ফলে ফেসবুকেও নির্বাচনী উত্তেজনা কমেছে। তারপরেও এই নির্বাচন নিয়ে নিজের কিছু ভাবনা শেয়ার করার ইচ্ছে থেকেই এই লেখা। তবে আগেই বলে নেই নির্বাচন বিষয়ে আমার অভিজ্ঞতা শূন্যের কাছাকাছি। তাই বলতে পারেন আজকের লেখা নির্বাচন সম্পর্কে অজ্ঞ একজনের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথা।

প্রথম যে নির্বাচনের কথা মনে পড়ে সেটা ১৯৭০ সালের নির্বাচন। ছোটবড় সবাই তখন আমরা নৌকার পক্ষে ভোট চেয়েছি। সেই সময়ে জলিল চাচা মৌলানা ভাষানীর কুড়ে ঘরের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণা করেন। তিনি ছিলেন জ্যাঠামশাইয়ের বন্ধু। এ নিয়ে তাঁদের মনোমালিন্য জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত ছিল। স্বাধীনতার আগে ও পরে নির্বাচনের সময় এলাকার সব গণ্যমান্য প্রার্থীরা আমাদের বাড়িতে আসতেন। মনে পড়ে মোসলেহ উদ্দিন হাবু মিয়া, মফিজুল ইসলাম কালাম (নামটা ঠিক আছে কি?), সায়েদুর রহমান – এরা সবাই আওয়ামী লীগের প্রার্থী। সে সময় এলাকায় আমাদের বেশ পরিচিতি থাকায় শুধু আমাদের আসনের নয়, অন্যান্য আসনের প্রার্থীরাও আমাদের বাড়িতে আসতেন। এছাড়া আসতেন ন্যাপের আনোয়ার চৌধুরী, খন্দকার দেলোয়ার হোসেন (পরে তিনি বিএনপিতে যোগ দেন)। তবে সে সময় নির্বাচন নিয়ে তেমন কোন উৎসাহ বোধ করিনি। আমার দেশে থাকাকালীন যে নির্বাচনগুলো নিয়ে বেশি হৈচৈ হত তা হল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বার নির্বাচন। বাড়ির অনেকেই তাতে মেতে উঠত, প্রার্থী ও তাদের কর্মীরা নিয়মিত এসে ভোট চাইত। রান্না ঘর পরিণত হত টি স্টলে। সবচেয়ে মজার ব্যাপার আমি নিজেও সে সময় কলেজ সংসদে নির্বাচন করেছিলাম, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের পক্ষ থেকে এজিএস পদে। এটা ১৯৮১ সাল। তবে আমি এসব নিয়ে তেমন সক্রিয় ছিলাম না। কত ভোট পেয়েছি সেটাও জানি না। সেই নির্বাচন মোটেই সুখের হয়নি। এর পর পর আওয়ামী লীগ ও জাসদ পন্থী ছাত্র লীগের মারামারিতে কলেজ দীর্ঘ দিনের জন্য বন্ধ হয়ে যায়। ২০১১ সালে মনে হয় দীপক ঘোষ দা বলেছিলেন আমার কারণেই ছাত্র লীগের দেবেশ হেরে যায়। তবে দেশে থাকতে আরও একটা নির্বাচনে আমরা বেশ ভালভাবেই অংশ নিয়েছিলাম। সেটা প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। আমরা ন্যাপের অধ্যাপক মজাফফর আহমেদের পক্ষে নির্বাচনী প্রচার চালিয়েছিলাম। এটা মনে হয় ১৯৮১ সাল। ওটাই মনে হয় একমাত্র নির্বাচন যেখানে আমি সক্রিয় ভাবে ভোট চাইতে গেছি।

সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রথম দিকে নির্বাচন কেমন সে সম্পর্কে ধারণাই ছিল না। তখন ভোট ছিল রেফারেন্ডাম বা জিয়াউর রহমানের হ্যাঁ – না ভোটের মত। পেরেস্ত্রইকার সাথে সাথে একাধিক প্রার্থী ভোটে দাঁড়ায়। নির্বাচন অনেকটা উৎসবের আকার ধারণ করে। ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে ইয়েলৎসিনের পক্ষে বন্ধুদের মাঝে প্রচার করেছি। এরপর আর তেমন হয়ে ওঠেনি পছন্দের দল বা প্রার্থীর অভাবে। এক সময় ইয়াবলেনস্কির ইয়াব্লকা পছন্দ করতাম, তবে পরে বুঝেছি এরা যতটা না কাজ করতে চায় তার চেয়ে বেশি ভাব দেখায়। এখন অনলাইনে ভোট দেই। গতকাল রাশিয়া ২০২৪ সালের ১৭ মার্চ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দিন ঘোষণা করেছে। সাধারণত মার্চের দ্বিতীয় রবিবার এ দেশে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয়, তবে এবার ঐ সময়ে আন্তর্জাতিক নারী দিবস মানে ৮ মার্চের উৎসবের কারণে নির্বাচন এক সপ্তাহ পিছিয়ে নেয়া হয়। আশা করা যাচ্ছে যে করোনা কালে প্রচলিত ও বহুল জনপ্রিয় পদ্ধতিতে তিন দিন ব্যাপী এই নির্বাচন হবে যাতে সবাই নিজের সুবিধা মত ভোট দিতে পারে। এখন অবশ্য শুধু ভোট কেন্দ্রে গিয়েই নয়, আগে থেকে পারমিশন নিয়ে অনলাইনে ভোট দেয়া যায়। ধারণা করা হচ্ছে যে এবার এরা শুধু প্রেসিডেন্ট নয়, দীর্ঘ কালের জন্য তাদের ভবিষ্যতের পথও নির্বাচন করবে রুশ জনগণ। অনেকেই প্রশ্ন করে এদেশে নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিয়ে। নিজের অভিজ্ঞতা থেকে যতটুকু জানি তাতে এদের নির্বাচন অনেক স্বচ্ছ। যেসব দল পার্লামেন্টে নিয়মিত যাচ্ছে তারা কেউই গুরুতর কোন অভিযোগ করেনি। তবে যেসব দল এখনও পার্লামেন্টে যায়নি তাদের একটা নির্দিষ্ট সংখ্যক সই সংগ্রহ করতে হয়। নব্বুইয়ের দশকে সেটা অনেক বড় ছিল, এখন কমিয়ে আনা হয়েছে। তাছাড়া বেশি দল বা জোট যাতে পার্লামেন্টে যেতে পারে সেজন্য প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ৫% থেকে কমিয়ে ৩% আনা হয়েছে। মানে কোন দল যদি ৩% ভোট পায় তবে তাঁদের প্রতিনিধি পার্লামেন্টে যায়। পরবর্তীতে বিভিন্ন দলের প্রাপ্ত ভটের শতকরা হিসাব অনুযায়ী তারা পার্লামেন্টে আসন পায়। যেসব দলের তেমন গণভিত্তি নেই তারা অনেক সময় ইচ্ছে করে এই সই সংগ্রহের কাজে গাফিলতি করে আর এর ফলে নির্বাচন কমিশন তাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে দেয় না। এই নিয়েই শুরু হয় হৈচৈ। এটাও তাদের প্রতিবাদের একটা পথ। এর মূল কারণ এরা যতটা না জনগণের সমর্থন আশা করে তারচেয়ে বেশি আশা করে পশ্চিমা বিশ্বের হস্তক্ষেপ। আমার ধারণা আমাদের দেশেও এ ধরণের রাজনৈতিক শক্তির অভাব নেই। এছাড়া বিভিন্ন দেশ থেকে এদের নির্বাচনে পর্যবেক্ষক হয়ে আসা যায়। এবং প্রতিটি নির্বাচনে বিভিন্ন দেশ থেকে পর্যবেক্ষকরা আসে। সেদিক থেকে আমার মনে হয় এখানকার নির্বাচন যথেষ্ট স্বচ্ছ। আমি ১৯৯৬ সালের ইয়েলৎসিনের নির্বাচন দেখেছি। সে সময়ের কারচুপির তুলনায় বর্তমান নির্বাচন যাকে বলে গঙ্গা জলে ধোঁয়া তুলসী পাতা। এরা এখন খুব আন্তরিক ভাবেই যতদূর সম্ভব স্বচ্ছ ভাবে নির্বাচন করতে আগ্রহী। কেননা সোভিয়েত আমলের শেষ দিকে ও নব্বুইয়ের দশকে জনগণের চোখে সকারের ভাবমূর্তি যেভাবে নষ্ট হয়েছিল, সেটা তারা এখন সত্যিই ফিরিয়ে আনতে চায়। আর একারণেই নির্বাচনকে যথাসম্ভব তর্কাতীত করা বলা চলে এদের জাতীয় দায়িত্ব। অনেকেই প্রশ্ন করে যেখানে জারের রশিয়া বা সোভিয়েত আমলে গণতন্ত্র বলে কিছু ছিল না, সেখানে নতুন রাশিয়ায় তা আসবে কোত্থেকে। আমার মনে হয় ভোটের গণতন্ত্রের চেয়ে ভাতের গণতন্ত্র সাধারণ মানুষের কাছে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ভোটের অধিকার মানুষকে মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে গণতান্ত্রিক উপায়ে তাদের শোষণ করার পথ করে দেয়। এটা আমরা বিভিন্ন দেশে প্রতিনিয়ত দেখছি। সে তুলনায় সোভিয়েত আমলের ভাতের অধিকার অনেক বেশি করে জনগণের স্বার্থ রক্ষা করে।
ফিরে আসি দেশের নির্বাচনের কথায়। আমি বরাবরই মনে করি সিপিবির নির্বাচনে অংশ নেয়া দরকার। কারণ নির্বাচন মানেই কিছু সাংগঠনিক কাজকর্ম, কিছুটা হলেও কর্মীদের মধ্যে এক ধরণের কর্মতৎপরতা। কারণ চাই না চাই, কী বড় কী ছোট শহরে, কী গ্রামে – যারা রাজনীতি করে, শত ঝগড়াঝাঁটির পরেও তারা এক সাথে ওঠা বসা করে, ইফতার পার্টি বা সামাজিক জীবনের অনেক কাজকর্মে অংশ নেয়। তাই এ ধরণের রাজনৈতিক মহাযজ্ঞে অংশ নিলে মন চাঙ্গা হয়। অন্তত নিজেদের কথা, দলের কথা দশ জনের কাছে পৌঁছে দেয়া যায়। পার্টির নিজস্ব কর্মসূচীতে যারা অংশ নেয় তারা মূলত পার্টির সমর্থক বা পার্টির প্রতি সহানুভূতিশীল। নির্বাচনের প্রচারণায় এর বাইরেও অনেকেই আসে। সেক্ষেত্রে নিজেদের প্রচারের সুযোগ বেড়ে যায়। তাছাড়া আমার দেখা মতে বাংলাদেশের পার্টির সবচেয়ে শক্তিশালী অবস্থা ছিল আশির দশকে যখন শুধু রাস্তায় নয় সংসদেও তাদের প্রতিনিধি ছিল। যদি সিপিবি বা বাম জোটের নির্বাচন বর্জন দেশের রাজনীতিতে সামান্যতম প্রভাব ফেলত তাহলে এর অর্থ বুঝতাম। রুশরা বলে সেনাবাহিনী টেরই পেল না যে তাদের একজন সেনা হারিয়ে গেছে। আমার ধারণা সিপিবি ছাড়া আর কেউই সিপিবি যে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি সেটা টের পাবে না। ভোটের রাজনীতিতে তাদের উপস্থিতি যেখানে প্রায় কেউই টের পায়না, সেখানে তাদের অনুপস্থিতি কীভাবে টের পাবে সেটা আমার বোধগম্য নয়। আমাদের বিপ্লব করার শক্তি নেই, আন্দোলন করে পুলিশ আর ছাত্র লীগের হামলা মোকাবেলা করার শক্তি নেই, এমতাবস্থায় আইনত ভাবে ওদের গালিগালাজ করার, নিজেদের কথা প্রচার করার এই সুযোগ হাতছাড়া করা কতটা যৌক্তিক? এটা ঠিক এখন ওরা সিপিবির নির্বাচনী জমায়েতে হামলা চালায়, নির্বাচনী প্রচারে বাঁধা দেয় – কিন্তু অন্যরকম কিছু কি কখনও ছিল কমিউনিস্টদের ভাগ্যে। এই মানসিকতা নিয়ে তো আর বিপ্লবের কথা বলা যায় না। আমার মনে হয় নির্বাচন বয়কট মানে ওয়াকওভার। তাছাড়া বিভিন্ন দেশে এটা করতে উৎসাহিত করে আমেরিকা। আমরা দেখেছি বিগত বছরগুলোতে তারা কিভাবে ইউরোপ ও আরব বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রঙ বেরঙের বসন্ত বিপ্লব এনেছে। যদিও এটা তারা করেছে সেসব দেশের জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার নামে, বাস্তবে এটা করেছে নিজেদের স্বার্থে। আর প্রাণ দিয়েছে লাখ লাখ সাধারণ মানুষ। দেশ, দেশের অর্থনীতি হয়েছে বিধ্বস্ত। পিটার হাসের তৎপরতা এর বাইরে কিছু নয়। লক্ষ্য একটাই – এখানে অস্থির অবস্থার সৃষ্টি করা আর সেই সুযোগে চীন ও ভারতকে সরিয়ে এখানে আমেরিকার পাপেট সরকার বসানো, ঠিক যেমনটা করেছিল ইরাকে, আফগানিস্তানে, ইউক্রেনে। লিবিয়ায় চেয়েছিল, পারেনি। সিরিয়াও না। তবে এর ফলাফল আমরা সবাই জানি। তাই এই চালে খেলে আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো কতটুকু দেশপ্রেমিকতার পরিচয় দিয়েছে সেটাই প্রশ্ন। কারণ যেকোনো রাজনৈতিক দলের প্রথম কথা হওয়া উচিৎ দেশের স্বার্থ। দলীয় স্বার্থে যারা দেশের স্বার্থ অন্যের হাতে তুলে দেয় তাদের রাজনীতি করার অধিকার কতটুকু আছে সেটাও প্রশ্ন সাপেক্ষ।

এরপরে শুরু হয় মনোনয়নের নাটক। পরিচিত অনেকেই মনোনয়নের জন্য আবেদন করেন, কেউ পান, কেউ পাননি। অনেকেই অন্যান্য দল থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন। এদের নিজস্ব রাজনৈতিক চিন্তাভাবনা ও যেসব দল থেকে মনোনয়ন নিয়েছে সেসব দলের চরিত্র একেবারের ভিন্ন মেরুতে অবস্থিত। তারপরেও আশা করব তারা এসব দল থেকে নির্বাচিত হলেও জনগণের স্বার্থ রক্ষার কথা ভাববেন, সেভাবেই কাজ করবেন। তবে এবার (হয়তো আগেও ছিল) মনোনয়ন নিয়ে যে নাটক হল তাতে মনে হল আজকাল এটাও এক ধরণের ব্যবসা বা নিলাম। আমার ধারণা আগে নির্বাচনে প্রার্থীদের নিজ নিজ এলাকা থেকেই নির্বাচন করত, এখন সেটা অন্যদের হাতে চলে গেছে। ফলে নির্বাচন শুধু নির্বাচন নেই, এক ধরণের বানিজ্যে পরিণত হয়েছে। নির্বাচনে আসছে সাবেক খেলোয়াড় থেকে শুরু করে বিভিন্ন সেলিব্রিটি। তারা অন্যান্য পণ্যের মতই এসব দলের বিজ্ঞাপন দিচ্ছে। তবে যেহেতু এদের কোন রাজনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ড নেই এবং এদের অধিকাংশই অর্থকেই জীবনের একমাত্র লক্ষ্য মনে করে, তাই তারা কতটুকু জনদরদী হবে সে প্রশ্ন থেকেই যায়।

কয়েকদিন আগে এক বন্ধু নির্বাচনে দাঁড়াব কিনা জিজ্ঞেস করায় চার্চিলের মত বলেছিলাম “আমি বসতে পারলে দাঁড়াই না, আর শুতে পারলে বসি না। যেদিন নির্বাচনে শোয়া যাবে সেদিনই চিন্তা করে দেখব”। আসলে এটা বলার কারণ ভিন্ন। মানুষ শুতে চায় তখনই যখন সে নিজেকে নিরাপদ মনে করে, যখন তাঁর মনে শান্তি থাকে। কিন্তু আমাদের দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিবেশ এতটাই বিষাক্ত যে কেউই সেখানে শান্তিতে নির্বাচন করতে পারে না, শান্তিতে নির্বাচনী প্রচারণা করতে পারে না। অন্য দলের কথা বাদ দেই, বর্তমানে যখন শুধুই নিজেদের প্রার্থী, হয় দলীয় মনোনয়ন প্রাপ্ত অথবা ডামি বা স্বতন্ত্র, সেখানেও মারামারি হানাহানির কমতি নেই। এই যখন রাজনৈতিক পরিবেশ সেখানে নির্বাচনে দাঁড়ানো মানে নিজের জীবনকে বিপদের মুখে ঠেলে দেয়া। সমস্যাটা তত্ত্ববধায়ক সরকারে নয়, সমস্যা রাজনৈতিক পরিবেশে, রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে। যতদিন না সরকারি ও বিরোধী দল, সবাই মিলে আমরা দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি বদলাতে সচেষ্ট না হব, ততদিন পর্যন্ত যেকোনো নির্বাচনই প্রশ্নবিদ্ধ হবে।

গবেষক, জয়েন্ট ইনস্টিটিউট ফর নিউক্লিয়ার রিসার্চ
শিক্ষক, রাশিয়ান পিপলস ফ্রেন্ডশিপ ইউনিভার্সিটি, মস্কো