সকল শ্রমিকদের জন্য স্থায়ী রেশনিং ব্যবস্থা চালু করার দাবি জানিয়েছে চট্টগ্রাম যুব ট্রেড ইউনিয়ন নেটওয়ার্ক
আজ বিকাল ৩টায় চট্টগ্রাম যুব ট্রেড ইউনিয়ন নেটওয়ার্কের উদ্যোগে স্থানীয় চেরাগীর মোড়ে এক মানবন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। চট্টগ্রাম হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মোহাম্মদ হানিফের সভাপতিত্বে এবং বিএলএফ চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবু আহমেদ এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত উক্ত মানববন্ধন ও সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র চট্টগ্রাম জেলা কমিটির সভাপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা তপন দত্ত এবং অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য প্রদান করেন ফজলুল কবির মিন্টু, শাহনেওয়াজ চৌধুরী মিনু, জাহেদ উদ্দিন শাহিন, আব্দুর রহিম, মোঃ জাবেদ আলম, লুৎফুর নাহার সোনিয়া, মোঃ হাসান মাহমুদ, দেলোয়ার হোসেন মিন্টু , গুলজার বেগম, ওমর ফারুক এবং সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বিলস এর সিনিয়র কর্মকর্তা রিজওয়ানুর রহমান খান, টিইউসির চট্টগ্রাম জেলা কমিটির যুগ্ম সম্পাদক ইফতেখার কামাল খান, বিএলএফ নগর কমিটির নেতা মোঃ আলমগীর হোসেন, শামসুল ইসলাম আরজু, জাতীয় শ্রমিক লীগের নূরুল কবির স্বপন, জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদলের হাসিবুর রহমান বিপ্লব, হোটেল শ্রমিক নেতা নুর আলম প্রমুখ।
সভার শুরুতে পোশাক শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির আন্দোলনে নিহত পোশাক শ্রমিকদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয় এবং তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবার বর্গের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ হয়। সভায় নিহত শ্রমিক পরিবারকে এমপ্লয়মেন্ট ইনজুরি স্কিম হতে আজীবন ক্ষতিপূরণ প্রদান এবং আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার জোর দাবি জানানো হয়।
প্রধান অতথি শ্রমিকনেতা তপন দত্ত বলেন, একটি বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষে ১৯৭১ এ অস্ত্র হাতে নিয়েছিলাম। কিন্তু দুর্ভাগ্য স্বাধীনতার ৫২ বছর পরেও আমাদের স্বপের বৈষম্যহীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা হয়নি। শ্রমিকেরা বেঁচে থাকার মজুরির জন্য আন্দলন করছে। তিনি জাতীয় নিম্নতম মজুরি ২৩ হাজার টাকা ঘোষণার আহ্বান জানান।
সমাবেশে হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট এবং জাহাজভাঙা শ্রমিকদের ২০১৮ সালে ঘোষিত নিম্নতম মজুরি পুনঃনির্ধারন এবং বেসরকারী স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান শ্রমিকদের জন্য মজুরি বোর্ড গঠন করে অবিলম্বে জীবন ধারণ উপযোগী নিম্নতম মজুরি ঘোষনার দাবি জানানো হয়।
সমাবেশে আরও বলা হয়, শুধু নিম্নতম মজুরি নির্ধারন করে সমস্যা সমাধান হবেনা। একটি পরিবার চলার মত প্রয়োজনীয় নিত্য পন্য যাতে শ্রমিকেরা পায় তা নিশ্চিতকল্পে সারা দেশে শ্রমজীবী মানুষ এবং নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য স্থায়ী রেশনিং ব্যবস্থা চালু করতে হবে।