সিনেটে উঠল ফ্রান্সের নতুন অভিবাসন বিল

সোমবার থেকে ফরাসি আইনসভার উচ্চকক্ষ বা সিনেটে শুরু হচ্ছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেরাল্ড দারমানার উত্থাপিত নতুন অভিবাসন বিল নিয়ে পর্যালোচনা। বিগত ৪০ বছরে ফ্রান্সে পাশ হয়েছে প্রায় ৩০টি অভিবাসন আইন। প্রতিবেদনে দেখুন নতুন ফরাসি অভিবাসন বিলের সম্ভাব্য ধারা ও অভিবাসন বিলের নানা ইতিহাস।
বহুল প্রতীক্ষিত নতুন অভিবাসন আইনটির মাধ্যমে ফ্রান্সে অভিবাসন সীমিত করা এবং অনিয়মিতদের বহিষ্কার সহজতর করতে চান জেরাল্ড দারমানা। তবে শ্রমিক সংকটে থাকা খাতগুলোতে কর্মরত অনথিভুক্ত অভিবাসীদের নিয়মিত করার একটি বিধান যুক্ত করা হয়েছে নতুন আইনে।
নতুন বিলের উপর সিনেটে আজ শুরু হওয়া পর্যালোচনা চলবে ছয় দিন। আগামী ১৪ নভেম্বর সিনেটে এই কার্যক্রম শেষ হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সিনেটের পর্ব শেষে এটি আবারও আইনসভার নিম্নকক্ষ বা ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে ফিরে যাবে। সেখানে চূড়ান্ত অন্তভুর্ক্তি নিয়ে আলোচিত হবে।
অভিবাসন ফরাসি সমাজের একটি ‘সিনড্রোমে’ পরিণত হয়েছে বলে মনে করছেন অনেক বিশেষজ্ঞরা। কারণ বছরের পর বছর ধরে অভিবাসী প্রবাহ কমানোর লক্ষ্যে ডান ও বাম রাজনৈতিকদলগুলো নানা আইন প্রণয়ন অব্যাহত রেখেছে।
নতুন অভিবাসন বিলের ৩ অনুচ্ছেদে ‘মেতিয়ের অঁ তনসিওঁ’ বা গুরুতর শ্রমিক সংকটে থাকা সেক্টরগুলোর আওতায় অনথিভুক্তদের বিশেষ রেসিডেন্স পারমিট দেয়ার কথা বলা হয়েছে৷
১৯৮০ সালের শুরুর দিকে থেকে ফরাসি রাজনীতি ও গণমাধ্যমে অভিবাসন ইস্যুটি বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রঁ’র শাসনকালেও এই নিয়মের ব্যতিক্রম হয়নি।
তার প্রথম ক্ষমতাকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেরার্ড কলম্ব একটি আশ্রয় ও অভিবাসন আইন পাশ করেন। ২০২২ সালের নির্বাচনে জেতার পর এমানুয়েল ম্যাক্রঁ’র আরেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেরাল্ড দারমানা আরেকটি নতুন অভিবাসন বিল পাশ করার লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছেন। আজ সোমবার (৬ নভেম্বর ) ফরাসি আইনসভার উচ্চ কক্ষ বা সিনেটে বিলটি নিয়ে আইনি পর্যালোচনা শুরু হয়েছে।
পারিবারিক পুনর্মিলন ভিসায় যত পরিবর্তন
অভিবাসন সীমিত করার লক্ষ্যে ১৯৭০ এর দশক থেকে সরকারগুলো চেয়েছে অনিয়মিত অভিবাসন ও পারিবারিক পুনর্মিলনের মাধ্যমে আসা অভিবাসীদের সংখ্যা কমাতে। তবে ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত অনিয়মিত উপায়ে ফ্রান্সে আসা অভিবাসীরা চাইলে কোনো শর্ত ছাড়াই পরিবারের অনিয়মিত সদস্যদের নিয়মিতকরণের জন্য সহজেই আবেদন করতে পারেন। তবে ওই বছরে দেফেরে নামের একটি অভিবাসন আইন পাশ করে সেটি বন্ধ করা হয়েছিল।
দুই বছর পর ১৯৮৬ সালে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শার্ল পাসকুয়া নতুন একটি আইন করে অভিবাসীদের ফ্রান্সে প্রবেশের আনুষ্ঠানিকতা এবং শর্ত বাড়িয়ে দেন। এই আইনে বিশেষ করে অভিবাসীদের রেসিডেন্স পারমিট বা কার্ড দ্যু সেজুর স্বয়ংক্রিয়ভাবে মঞ্জুর ও নবায়ন সীমিত করা হয়।
পাসকুয়া আইনে একজন ফরাসি নাগরিককে বিয়ে করা বিদেশি নাগরিকের রেসিডেন্ট পারমিট পেতে বিয়ের স্থায়ীত্ব কমপক্ষে এক বছর করা হয়। এছাড়া স্থায়ী রেসিডেন্ট পারমিটের মেয়াদ ১৫ বছর থেকে কমিয়ে ১০ বছর করা হয়।
১৯৯৩ সালে শার্ল পাসকুয়া আরেকটি নতুন অভিবাসন আইন নিয়ে আসেন। এই আইনে অভিবাসী পরিবারগুলোর পরিবার আনার শর্ত আরও কঠোর করা হয়। আগে একজন নিয়মিত অভিবাসীকে তার পরিবারের ভিসার জন্য আবেদন করতে এক বছর অপেক্ষা করতে হতো। এই আইনের মাধ্যমে আবেদনের আগে বসবাসের সময়সীমা দুই বছর করা হয়। তবে এই সময়সীমাটি আবার ১৯৯৮ সালের শোবেনমো আইনের মাধ্যমে কমিয়ে এক বছর করা হয়েছিল। ২০০৬ সালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিকোলা সারকোজি এই সময়সীমা আবার ১৮ মাসে নিয়ে আসেন।
১৯৯৩ সালের পাসকুয়া আইনে প্রথমবারের মতো পরিবার আনার শর্ত হিসেবে ন্যূনতম বেতনের শর্ত নির্ধারণ করা হয়েছিল। ২০০৬ সালের সারকোজি আইনে অভিবাসীদের আয়ের ক্ষেত্রে সামাজিক সুবিধা থেকে প্রাপ্ত অর্থ গণনা না করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ২০০৭ সালের হর্তফু আইনে নতুন করে পরিবারের সংখ্যার উপর ভিত্তি করে ন্যূনতম মজুরির ১.২ গুণ বেতনের শর্ত যুক্ত করা হয়।
নিকোলা সারকোজি ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর ব্রিস হর্তফুকে সারকোজির তৈরি নতুন অভিবাসন, একীকরণ এবং জাতীয় পরিচয় বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের প্রধান করা হয়। নতুন মন্ত্রী অভিবাসীদের পরিবার আনতে ন্যূনতম ফরাসি ভাষার দক্ষতা ও প্রজাতন্ত্রের মূল্যবোধ সম্পর্কিত জ্ঞান থাকার শর্ত যুক্ত করেন।
বিশেষ অভিবাসন
সেক্টর ভিত্তিক অভিবাসনের ধারণা সৃষ্টি হয় ১৯৮০ সাল থেকে। ওই সময় পাশ হওয়া ‘বোনে আইনে’ বলা হয় কোনো নির্দিষ্ট এলাকা কিংবা সেক্টরে বেকারত্বের পরিসংখ্যান ভাল না হলে সংশ্লিষ্ট অভিবাসীর রেসিডেন্ট পারমিট নবায়ন বাতিল করা যাবে। অপরদিকে ঘাটতিতে থাকা সেক্টরে উচ্চ দক্ষ অভিবাসীদের জন্য ২০০৬ সালে ‘দক্ষতা এবং প্রতিভা’ কোটায় বিশেষ রেসিডেন্স পারমিটের অনুমোদন দেয়া হয়।
২০১৬ সালে কাজনভ আইনে ‘ট্যালেন্ট পাসপোর্ট’ নামে বিশেষ অভিবাসন কোটা চালু করা হয়। ২০১৮ সালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেরাল্ড কলম্ব এটিকে ‘উদ্ভাবনী কোম্পানির কর্মচারী’ নামে প্রসারিত করেন। মূলত ফ্রান্সে আসা উচ্চ দক্ষ বিদেশি ছাত্রদের আকৃষ্ট করতে এটি করা হয়।
অনথিভুক্ত অভিবাসীদের দুর্বিষহ জীবন
আইনি অভিবাসনের বাইরেও ধারাবাহিক সরকারগুলো চেয়েছে অনিয়মিত অভিবাসন মোকাবিলায় তাদের দৃঢ়তা প্রদর্শন করতে চেয়েছে। অবশ্য বামপন্থিরা ফ্রান্সে দুইবার ব্যাপক আকারে অনথিভুক্ত অভিবাসীদের নিয়মিত করেছিল।
প্রথমবার ১৯৮১ সালে এক লাখ ৩০ হাজার অনিয়মিত অভিবাসীকে বৈধতা দেয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে ১৯৯৮ সালে ৯০ হাজার অভিবাসীকে নিয়মিত করা হয়।
তবে গত চার দশকের সর্বোপরি দমনমূলক নীতিগুলোর সৃষ্টি হয় ১৯৮০ সালের বোনে আইনের মাধ্যমে। ওই সময় প্রথমবারের মতো অনথিভুক্ত অভিবাসীদের বহিষ্কার এবং প্রশাসনিক আটক কেন্দ্রে (সিআরএ) রাখার নিয়মের বৈধতা দেয়া হয়।
অনিয়মিত অভিবাসীদের আটকের সময়কাল ১৯৮১ সালে দেফেরে আইনে সালে সাত দিন নির্ধারণ করা হয়েছিল এবং তারপর থেকে এটি বাড়ানো অব্যাহত রয়েছে।
এইভাবে ১৯৯৩ সালের পাসকুয়া আইনে এটি ১০ দিন এবং ১৯৯৮ সালের শোবেনমো আইনে এটি ১২ দিন, ২০০৩ সালের সারকোজি আইনে ৩২ দিন , ২০১১ সালের বোজো আইনে ৪৫ দিনে এবং সবশেষ ২০১৮ সালের কলম্ব আইনে এটি ৯০ দিন করা হয়েছে।
একই সময়ে অভিবাসীদের পরিচয় পত্র চেক করার বিষয়টিও বৃদ্ধি পেয়েছে। ১৯৮১ সালের পিয়েরফিত আইনে প্রথমবারের মতো পুলিশ সদস্যদের রাস্তায় যেকোনো ব্যক্তির কাছ থেকে তাদের পরিচয় পত্র চাওয়ার অনুমতি দেয়া হয়। জনশৃঙ্খলা বিশেষ করে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা বা পণ্যের লঙ্ঘন প্রতিরোধ করার জন্য এটি অনুমোদন দেয়া হলেও বাস্তবে অনথিভুক্ত অভিবাসীদের হয়রানির জন্য এটি ব্যবহার করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছিল।
১৯৯৭ সালের দেব্রে আইন বিদেশিদের আঙুলের ছাপ পুলিশের ফাইলে জমা রাখার করার অনুমতি দেয়া হয়। ২০০৩ সালের সারকোজি আইন বিদেশিদের ছবি যুক্ত করার বিধান রাখা হয়। ২০১৬ সালের কাজনোভ আইনে ফ্রান্সে বিদেশিদের উপর নিয়ন্ত্রণকে প্রসারিত করার লক্ষ্যে সামাজিক দপ্তর বিশেষ করে কাফ ও স্কুলগুলো থেকে যেন প্রেফেকচুর বা ফরাসি প্রশাসন তথ্য নিতে পারে সেটির সুযোগ দেয়া হয়। ২০১৮ সালের কলম্ব আইনে অভিভাবকহীন বিদেশি অপ্রাপ্তবয়স্কদের জন্য একটি আলাদা বায়োমেট্রিক ফাইল তৈরি করা হয়
স্বাস্থ্যসেবার সুবিধা কমিয়ে আনা
নতুন অভিবাসন আইনের খসড়ায় অনিয়মিত অভিবাসীদের জন্য বিদ্যমান এইড মেডিক্যাল নামের সুবিধা বিলুপ্ত করার বিধান যুক্ত রাখা হয়েছে। যদিও এটি নিয়ে প্রবল আপত্তি জানিয়েছে বাম ও পরিবেশবাদীরা।
ফরাসি সরকারগুলো ১৯৭০ এর দশক থেকে পর্যায়ক্রমে অনথিভুক্ত অভিবাসীদের জন্য স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ কমিয়ে দিতে কাজ করছে।
১৯৪৫ সাল থেকে যেকোনো ফরাসি নাগরিকের মতো একজন অভিবাসীও ফ্রান্সের একই সার্বজনীন চিকিৎসা বীমায় অন্তভুর্ক্ত ছিলেন। ১৯৯৩ সাল থেকে অনিয়মিত অভিবাসীদের সার্বজনীন সিকিউরিটি সোশ্যাল থেকে বের করে ডিপার্টমেন্টাল মেডিকেল এইড বা এএমদি নামের দপ্তরে যুক্ত করা হয়।
১৯৯৯ সালে লিওনেল জসপা সরকার ফরাসি জনগণ এবং নিয়মিত অভিবাসীদের জন্য ইউনিভার্সাল মেডিকেল কভারেজ (সিএমইউ) নামে একটি বিশেষ বীমা তৈরি করে।
সেইসঙ্গে অনিয়মিত পরিস্থিতিতে থাকা বিদেশিদের স্টেট মেডিকেল এইড (এএমই) তৈরি করেছিল। অভিবাসীদের কাছে এটি এইড মেডিকেল নামে বহুল পরিচিত। এই বিশেষ সেবার সুবিধা পেতে ২০০৩ সালে ফ্রান্সে কমপক্ষে তিন মাস নিরবচ্ছিন্নভাবে বসবাসের শর্ত যুক্ত করা হয়।
২০১১ সালে এই সেবা পেতে ৩০ ইউরোর একটি ফি চালু করা হয়েছিল। যদিও ২০১২ সালে বিতর্কের পরে এটি বিলুপ্ত করা হয়েছিল।
২০২১ সালে গ্রেপ্তার হওয়া অনথিভুক্ত অভিবাসীদের দীর্ঘ সমইয়ের জন্য কারাগারে প্রেরণ এবং পরবর্তীতে ফরাসি ভূখণ্ডে প্রবেশের নিষেধাজ্ঞার ঝুঁকিতে থাকার বিধান যুক্ত করা হয়। ২০১২ সালে এটি বাতিল করা হয়।
আশ্রয়ের অধিকার কঠিন হচ্ছে
ফ্রান্সে অভিবাসীদের প্রবেশের আরেকটি মাধ্যম হচ্ছে আশ্রয় আবেদন বা শরণার্থী মর্যাদার জন্য আবেদন করা।
বিশেষ করে ২০০০ দশক থেকে আফগানিস্তান, ইরাক, সুদান, দক্ষিণ সুদান এবং সিরিয়ার যুদ্ধের কারণে আশ্রয়প্রার্থীদের সংখ্যা বেড়েছে।
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার (ইউএনএইচসিআর) অনুসারে, ২০০৫ সালে বিশ্বের মোট শরণার্থীর সংখ্যা ছিল এক কোটি ৩০ লাখ। ২০২২ সালে তিন কোটি ৫০ লাখে উন্নীত হয়েছে।
ফলে ফ্রান্সেও বিপুল সংখ্যক আশ্রয়ের অনুরোধ জমা হয়েছে। ১৯৯৮ সালে প্রায় ২৩ হাজার আশ্রয় আবেদন নথিভুক্ত করা হয়। ২০২২ সালে এটি এক লাখ ৫৬ হাজারে দাঁড়িয়েছে।
এই বিস্ফোরণের মুখোমুখি হয়ে, সরকারগুলো আশ্রয় অধিকারকে সীমিত করেছে। বিশেষত ২০০৩ সালে আশ্রয় আবেদনে নিরাপদ দেশগুলোর একটি তালিকা তৈরি করে বেশ কিছু দেশের নাগরিকদের বাদ দেয়া হয়।
স্বাধীনতা, গণতন্ত্র, আইনের শাসন, মানবাধিকার এবং মৌলিক স্বাধীনতা নীতির উপর ভিত্তি করে ফ্রান্সে নিরাপদ ও অনিরাপদ দেশের তালিকা করা হয়। ২০০৭ সাল থেকে শরণার্থী এবং রাষ্ট্রহীন ব্যক্তিদের জন্য নিবেদিত অফপ্রা নামের বিশেষ দপ্তরকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আইনি কাঠামোয় ন্যস্ত করা হয় ।
১৯৮৫ সাল থেকে ফ্রান্সে আসা আশ্রয়প্রার্থীরা আসার পর নিয়মিতভাবে সরাসরি কাজ করতে পারতেন। ১৯৯১ সালে এটি পরবর্তন করে কমপক্ষে রেসিডন্স পারমিটের জন্য আবেদন করার শর্ত যুক্ত করা হয়।
২০০৫ সাল থেকে আশ্রয় আবেদনের এক বছর পর কাজের অনুমতি প্রদানের বিধান রাখা হয়। ২০১৫ সালে আশ্রয়প্রার্থীদের কাজের অনুমতির আবেদন করতে এ সময়সীমা নয় মাস এবং ২০১৮ সালে ছয় মাসে কমিয়ে আনা হয়।
এছাড়া ফ্রান্সে আসার পর আশ্রয় আবেদন জমাদানের সময়সীমা হ্রাস করা হয়েছে।
২০১৮ সালের ফ্রান্সে আগত বিদেশিদের ৯০ দিনের মধ্যে আশ্রয়ের জন্য আবেদন করার আইন করা হয়। যা আগে ছিল ১২০ দিন।
এমএইউ/টিএম