চলমান সংবাদ

২ জন গার্মেন্টস শ্রমিক নিহত এবং শ্রমিকদের উপর পুলিশের গুলিবর্ষণের নিন্দা ও বিচার দাবি

মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলনরত পোশাক শ্রমিকদের উপর পুলিশের গুলিবর্ষণ এবং দুইজন পোশাক শ্রমিক নিহত হওয়ার ঘটনায় নিন্দা, উদ্বেগ প্রকাশ এবং বিচারের দাবি জানিয়ে সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশের জন্য বিবৃতি প্রদান করেছে শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ – স্কপ।

স্কপের যুগ্ম-সমন্বয়কারি শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর ও নুরুল আমিন স্কপের পক্ষ থেকে প্রেরিত এক বিবৃতিতে বলেন, আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি যে বিগত এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে বিভিন্ন শিল্পাঞ্চলে গার্মেন্টস শ্রমিকরা মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে রাস্তায় নেমেছে এবং নেতৃত্বহীন, অসংগঠিত শ্রমিকদের বিক্ষিপ্ত আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে বিভিন্ন স্বার্থান্বেসী মহল কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটাচ্ছে। এই শিল্পের শ্রমিকদের বাধাহীন এবং সচ্ছতার সাথে ট্রেড ইউনিয়ন চর্চার সুযোগ না দিয়ে তাদের ক্ষোভের বিক্ষিপ্ত প্রকাশকে নৈরাজ্য হিসাবে তুলে ধরে শক্তি প্রয়োগে দমন করার মাধ্যমে সবচেয়ে সস্তায় শ্রমিক খাটানোর কৌশল গার্মেন্টস মালিকরা পূর্ব থেকে চালিয়ে আসছে। নেতৃবৃন্দ, নতুন মজুরি পুণঃনির্ধারণের সময় অযৌক্তিক মজুরি প্রস্তাবনা, সময়ক্ষেপন এবং বাস্তব সত্যকে অস্বীকার করে বিভিন্ন বক্তব্য দেওয়ার মাধ্যমে গার্মেন্টস মালিকরা, শ্রমিকদের উত্তেজিত করে রাস্তায় নামিয়ে শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরির আন্দোলন কে ভিন্ন খাতে ঠেলে দিয়ে স্বার্থ উদ্ধারের সেই পুরোনো কৌশল ব্যবহার করছে কিনা তা তদন্ত করে বের করার আহবান জানান। নেতৃবৃন্দ মিরপুরে স্থানীয় কাউন্সিলরের নেতৃত্বে গার্মেন্টেসের ভিতরে ঢুকে ইপিলিয়ন গার্মেন্টেসের আন্দোলনরত শ্রমিকদের উপর স্থানীয় সন্ত্রাসীদের ন্যাক্যারজনক হামলার তীব্র নিন্দা এবং হামলাকারী সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান।

নেতৃবৃন্দ বলেন, বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানীখাত গার্মেন্টস শিল্পের প্রাণ গার্মেন্টস শ্রমিকরা, মালিকরা নয়। যে গার্মেন্টস শ্রমিকদের রক্ত-ঘামের বিনিময়ে অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রা দিয়ে রাষ্ট্রের ব্যবস্থাপনা পরিচালিত হয়, সেই শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরির দাবিকে দমন করতে পুলিশের গুলি চালানো কোনো যুক্তিতে সমার্থনযোগ্য নয়। নেতৃবৃন্দ, রাসেল হাওলাদারসহ দুইজন পোশাক শ্রমিক নিহত হওয়া ও গুলি করে পোশাক শ্রমিকদের আহত করার জন্য দায়ীদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনার এবং ক্ষতিগ্রস্তদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ প্রদানের জোর দাবি জানান।

নেতৃবৃন্দ, মালিক এবং রাষ্ট্রের অব্যবস্থাপনায় সৃষ্ট সংকটের দায়ে শ্রমিকদের উপর নির্যাতন কিংবা শ্রমিক প্রতিনিধিদের হয়রানির কোনো চেষ্টা সহ্য করা হবেনা বলে হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করেন।
বার্তা প্রেরক