চলমান সংবাদ

দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সিন্ডিকেট ভাঙা, উৎপাদক ও ক্রেতা সমবায় গড়ে তোলাসহ  সারাদেশে রেশন ব্যবস্থা চালুর দাবীতে সিপিবি চট্টগ্রাম জেলার উদ্যোগে  বিক্ষোভ সমাবেশ

“অব্যাহত দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির প্রতিবাদে এবং দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সিন্ডিকেট ভাঙা, উৎপাদক ও ক্রেতা সমবায় গড়ে তোলাসহ সারাদেশে রেশন ব্যবস্থা চালুর দাবীতে  ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ শনিবার বিকাল ৫ টায় বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, চট্টগ্রাম জেলার উদ্যোগে সিনেমা প্যালেস চত্ত্বরে  বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সিপিবি  চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি অশোক সাহা সভাপতিত্বে ও সহকারী  সাধারণ সম্পাদক নুরুচ্ছাফা ভূঁইয়ার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সিপিবি চট্টগ্রাম জেলার সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাহাঙ্গীর, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য ফরিদুল ইসলাম,  সিপিবি দক্ষিণ জেলার সহকারী সাধারণ সম্পাদক সেহাব উদ্দিন সাইফু প্রমুখ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকার ব্যর্থ। সরকারের নীতিই এই সংকট তৈরি করেছে। চাল-ডাল-সবজি, তেল, চিনি, পিয়াজ, আদা, রসুন থেকে শুরু করে সকল নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম আকাশ ছোয়া। বাজারে গেলে মানুষ এখন আর হাসিমুখে ঘরে ফিরতে পারেন না। প্রতি মুহূর্তে মানুষ টের পাচ্ছেন যে তার টাকার দাম কমে যাচ্ছে। যে হারে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে সে হারে আয় বৃদ্ধি পায়নি।দেশের বিপুল অংশের শ্রমজীবী মানুষ অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছে। এই মুহূর্তে বাংলাদেশে প্রায় ৪ কোটি লোক প্রয়োজনীয় ক্যালরির খাবার পাচ্ছেন না। গোটা বাজার আজ গুটিকয়েক ব্যবসায়ি সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণে। এই ব্যবসায়ি সিন্ডিকেটদের নিয়ন্ত্রণে সরকারের কোনো পদক্ষেপ নেই। বরঞ্চ এসব ‘খাদ্য বিধাতা’দের তোয়াজ করেই সরকার চলছে। সরকার মানুষের ভাত ও ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। ‘বিনা ভোটের সরকার’ দেশের মানুষকে আজ ভাতে মারতে চলেছে।

তাই বক্তারা বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে অবৈধ ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট ভেঙে দিতে হবে। মজুতদার -মুনাফাখোর ও মধ্যস্বত্বভোগীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। বিএডিসির কার্যক্রমকে ব্যাপকভাবে প্রসারিত করে সারাদেশে সার, বীজ, কীটনাশক, বিদ্যুৎ, সেচ যন্ত্রপাতিসহ কৃষি উপকরণ ন্যায্যমূল্যে এবং সময়মতো খোদ কৃষকের কাছে সরাসরি সরবরাহের ব্যবস্থা করতে হবে, যাতে পণ্যের উৎপাদন ব্যয় কমে আসে। পণ্য পরিবহনে দুর্নীতি, হয়রানি ও চাঁদাবাজি, হাটবাজারে ইজারাদারি ব্যবস্থা বন্ধ করতে হবে।  দক্ষ ও দুর্নীতিমুক্তভাবে টিসিবির কার্যক্রম ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি করে অত্যাবশ্যক পণ্যসামগ্রীর আমদানি, মজুত ও সরবরাহ ব্যবস্থা সচল রাখতে হবে। রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে খাদ্যদ্রব্যসহ অত্যাবশ্যকীয় দ্রব্যসামগ্রীর বাফার স্টক গড়ে তোলা, পাইকারি ও খোলাবাজারে পণ্যমূল্য তদারকির জন্য ‘মূল্য নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ’ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আপৎকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আপৎকালীন দ্রুততার সঙ্গে ‘ঝটিকা কার্যক্রম’ পরিচালনার প্রস্তুতি রাখা, পৃথক মন্ত্রণালয় বা বিভাগের মাধ্যমে গ্রাম-শহরসহ সারাদেশে সাশ্রয়ী, দক্ষ ও দুর্নীতিমুক্ত ‘গণবণ্টন ব্যবস্থা’ চালু ও  স্বল্প আয়ের মানুষকে বাঁচাতে সারাদেশে পর্যাপ্ত ন্যায্যমূল্যের দোকান ও রেশনিং ব্যবস্থা চালু করতে হবে।
তাই এই  সঙ্কটময় সময়ে কমিউনিস্ট পার্টিকে সর্বোচ্চ শক্তি নিয়ে লুটপাট ও  দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতি বিরুদ্ধে তীব্র গণসংগ্রাম গড়ে তুুুুলতে হবে।সেই লক্ষ্যে  প্রত্যেক থানায় থানায় বিভিন্ন গণসংগ্রাম গড়ে তোলার মত শক্তিশালী কমিউনিস্ট পার্টির কোন বিকল্প নেই।