ডেঙ্গু প্রতিরোধে যুব ইউনিয়নের সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন
ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপে আতংকিত দেশের জণগন। সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলের অব্যবস্থাপনা ও দায়িত্বহীনতার কারণে বাংলাদেশের সকল মানুষের ভয়াবহ স্বাস্থ্য ঝুঁকির আশংকা দেখা দিয়েছে। ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে বাংলাদেশ যুব ইউনিয়ন, চট্টগ্রাম জেলা সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন গতকাল শুক্রবার (১৪ জুলাই) বিকেল থেকে শুরু হয়েছে।
চট্টগ্রাম নগরীতে ডেঙ্গু প্রতিরোধে যুব ইউনিয়নের প্রথম দিন নগরীর চেরাগী পাহাড় থেকে শুরু হয়ে শরীফ কলোনি, হেমসেন লেইন, কাজীর দেউড়ী হয়ে ব্যাটারীগলি পর্যন্ত এসে ক্যাম্পেইন শেষ হয়। এসময় ডেঙ্গু সচেতনতামূলক র্যালী, লিফলেট বিতরণ ও বিভিন্ন স্থানে পথসভার আয়োজন করে।
চট্টগ্রাম জেলা যুব ইউনিয়নের সভাপতি শাহ আলমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জাবেদ চৌধুরীর সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন জেলার সহ সভাপতি প্রীতম চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক রাশিদুল সামির, সহকারী সাধারণ সম্পাদক শান্তুনু চৌধুরী, দফতর সম্পাদক বিপ্লব দাশ, যুবনেতা গৌতম কুমার বনিক, মো. রাসেল ও চট্টগ্রাম জেলা ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক টিকলু কুমার দে।
সভায় বক্তারা বলেন, দেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি আজ খুব ভয়াবহ। ডেঙ্গু জ্বরে সারাদেশ কাঁপছে। হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। প্রতিদিন লাশের সারি দীর্ঘায়িত হচ্ছে। তবে এ নিয়ে সরকার বা চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের কোনো মাথাব্যথা নেই। তাদের অবহেলা এবং উদাসীনতায় এটি এখন নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েছে।
বক্তারা আরও বলেন, মশক নিধনে সিটি করপোরেশনের বাজেট লুটে খাচ্ছে ক্ষমতাসীনরা। মাঝে মধ্যে ড্রোন এবং ফগার মেশিন দিয়ে ফটোসেশন করা হচ্ছে। মূলত মশা নিধনে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। নগরীতে মশক নিধনে সিটি কর্পোরেশন সহ সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলের কার্যকর ভূমিকা পরিলক্ষিত হচ্ছে না । আমরা যেসব এলাকায় ক্যাম্পেইন করেছি সব এলাকা থেকেই অভিযোগ করেছে এখনও সিটি করপোরেশন থেকে কোনো মশার ওষুধ ছিটানো হয়নি। এডিস মশা নিধনে বাস্তব উদ্যোগ সর্বদিক হতে নিতে হবে। এ ব্যাপারে সরকারের দায়িত্ব সবচেয়ে বেশি।
শুধু তাই নয়, ডেঙ্গু জ্বর হলে দ্রুত যে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার, তাও নিতে পারেনি সরকার। ডেঙ্গু রোগ নির্ণয়ে চট্টগ্রামের হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম অপ্রতুল।
তাই আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাই যতদ্রুত সম্ভব সব এলাকায় মশার নিধনের ঔষধ ছিটানো হোক, সব নালা-নর্দমা পরিষ্কার করা হোক। এডিস মশার বিস্তার রোধ ও ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধে সরকারকে এলাকাভিত্তিক স্টিয়ারিং কমিটি গঠন করতে হবে এবং জনসচেতনতামূলক কর্মসূচী গ্রহণ করতে হবে। সকল সরকারী ও বেসরকারী হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীদের জন্য ওয়ান স্টপ সেন্টার চালু করতে হবে। ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা অনুপাতে ডাক্তার নার্সসহ প্রয়োজনীয় জনবল বৃদ্ধি করতে হবে। বিনামূল্যে সব হাসপাতালে ডেঙ্গু পরীক্ষা করার ব্যবস্থা করতে হবে।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, সরকারের পাশাপাশি জনগণকেও সচেতন হতে হবে। ঘর ও বাড়ির আশপাশ যতটা সম্ভব পরিস্কার রাখতে হবে এবং বাসায় জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করতে হবে।
# ১৫/০৭/২০২৩, চট্টগ্রাম