বৈধ পথে অভিনব জালিয়াতি -রপ্তানি মূল্য ২১ লাখ ডলার, তবে দেশে আসেনি এক ডলারও
চালানটি রপ্তানি হয়েছে ঢাকার সাবিহা সাইকি ফ্যাশনের নামে। গত ৩১ জানুয়ারি প্রথম জালিয়াতি শনাক্ত করার পরপরই সাবিহা সাইকি ফ্যাশন ঢাকার উত্তরা পশ্চিম থানায় সাধারণ ডায়েরি করে। এই চালানটি রপ্তানিকারকের প্রতিনিধি হিসেবে কাস্টমস এজেন্ট ছিল লিমাক্স শিপার্স লিমিটেড।
কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর জানায়, ৩১ জানুয়ারি পতেঙ্গার একটি বেসরকারি ডিপোতে অভিযান পরিচালনা করে তাদের একটি দল। জালিয়াতির অভিযোগে সেখানে ২ লাখ ৮৩ হাজার ডলারের ৯টি চালানের রপ্তানি স্থগিত করা হয়। রপ্তানিকারকের ব্যাংক হিসেবে নাম ছিল অগ্রণী ব্যাংক। সে অনুযায়ী অগ্রণী ব্যাংকের কাছে তথ্য চাইলে তারা গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের জানায়, নথিগুলো অন্য রপ্তানিকারকের নামে ইস্যু করা হয়েছে। অর্থাৎ অন্য রপ্তানিকারকের বিক্রয় চুক্তি কিংবা ঋণপত্রের মাধ্যমে এসব পণ্য রপ্তানি হয়েছে।
জানতে চাইলে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ ফখরুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, এসব চালান জালিয়াতির মাধ্যমে রপ্তানি হয়েছে। এতে রপ্তানির বিপরীতে বিদেশি মুদ্রা বৈধভাবে দেশে আসার সুযোগ নেই। রপ্তানির টাকা মূলত পাচার হয়ে গেছে।
জালিয়াতির এই অভিযোগ খতিয়ে দেখতে চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয়ের যুগ্ম পরিচালক মো. সাইফুর রহমানকে আহ্বায়ক করে আট সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে অধিদপ্তর।
রপ্তানি চালান শুল্কায়ন করেছেন চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্মকর্তারা। গোয়েন্দা অধিদপ্তর এই ঘটনা শনাক্ত করার পর সংস্থাটিও বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম কাস্টমসের উপকমিশনার মো. বদরুজ্জামান মুন্সি প্রথম আলোকে বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখতে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।